সুপ্রিয় সফটওয়্যার হাট কমিউনিটি সবাইকে আমার আন্তরিক সালাম এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আজকের স্পেশাল টিউন।
বর্তমান সময়টা হলো তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষের যুগ ।চিন্তা যেখানে বাস্তবতার রূপায়ন সেখানে অবাস্তব বলে কিছুই নেই। আজকে আমরা এমন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যেগুলো ভবিষ্যতে আমাদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। যে সমস্ত প্রযুক্তি আমাদের বাস্তব জীবনকে স্বার্থক এবং সুন্দর করে তুলবে। এবং সবসময় বিজ্ঞানের প্রযুক্তিতে আমাদের মেতে রাখবে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
কাগজের মতো নমনীয় ও পাতলা মোবাইল ফোন এবং কম্পিউটার
মনের মতো ডিজাইন করুন কোন সীমাবদ্ধতা ছাড়াই 3D কলম দিয়ে
বিজ্ঞানের এক অনন্য ও বিস্ময় আবিষ্কার এই ৩ ডাইমেনশনাল কলম। এর সাহায্যে আপনি যেকোন দ্বিমাত্রিক পৃষ্টের উপর ত্রিমাত্রিক ছবি আঁকতে পারবেন। নিচে যদি চিত্র দেখানো যাই তাহলে আপনার কাছে সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার কথা। সামনে আরও কী কী চমক অপেক্ষা করছে কোন ধারনা করতে পারবেন না।
মাছের শ্বাস যন্ত্র হিসেবে কৃত্রিম ফুলকা
আপনারা হয়তো ভালো করেই জানেন পানিতে বসবাসকারী মাছদেরও অক্সিজেনের সাহায্যে শ্বাস কার্য পরিচালনা করতে হয়। মনে প্রশ্ন জাগতে পারে পানির নিচে অক্সিজেন আসলো কিভাবে? কারন আমরা নিজেরা যখন পানির নিচে মুখ ডুবাই তখন শ্বাস নিতে পারিনা। বিজ্ঞ জনেরা বলতে পারেন পানি তৈরী হয়েছে দুটি মৌলিক পদার্থ অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেনের সংমিশ্রনে। পানির বিয়োজন বিক্রিয়ায় অক্সিজেন তৈরী হওয়া সম্ভব। কিন্তু আমি বলবো বিয়োজনের জন্য যে পরিমান শক্তি লাগে সেটা পানিতে থাকেনা। কিন্তু সত্য তো হলো এটাই যে, পানিতে খুব সামান্য পরিমান অক্সিজেন থাকে যেটা মাছেরা তাদের ফুলকার সাহায্যে গ্রহণ করে থাকে। আশ্চর্য লাগলেও এটিই সত্য যে, ইজরাইলের একজন বিজ্ঞানী Alon Bodner মানুষের জন্যও মাছের মতো কৃত্রিম ফুলকা সৃষ্টি করেছেন যার সাহায্যে পানিতে শ্বাস নেওয়া যাবে। প্রাথমিক ভাবে এই যন্ত্রটির নাম দিয়েছেন LikeAFish।মাছের শ্বসনের জন্য সামান্য পরিমাণ অক্সিজেনে কাজ হলেও মানুষের জন্য প্রয়োজন হয় অধিক পরিমান অক্সিজেনের। আপনার কি মনে হয় ছোট্ট এ যন্ত্রটি কি পারবে মানুষের প্রয়োজনীয় অক্সিজের যোগান দিতে? আজ শুধু আপনার আশ্চর্য হওয়ার পালা। কারন যন্ত্রটির কার্যক্ষমতা এতোটাই বেশি যে, এটা প্রতি মিনিটে প্রায় ১৯০ লিটার পানিতে বিশ্লেষণ করে একজন মানুষের স্বাভাবিক শ্বাসকার্য বজায় রাখার জন্য। তবে যন্ত্রটি আবিষ্কার হলেও দুঃখের কথা এটাই যে সাধারন মানুষের জন্য তৈরী করা হয়নি। প্রাথমিকভাবে শুধু মিলিটারিদের ব্যবহারের জন্য এটির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে হয়তো নৌবাহিনিতে ব্যাপক ভাবে এই যন্ত্র ব্যবহার হবে। কারন এই যন্ত্রটি সহজে বহনযোগ্য এবং এটা ব্যবহার করলে অতিরিক্ত কোন অক্সিজেনের ট্যাংক এর প্রয়োজন হয়না।
দেখুন লাইভ পৃথিবী Google Earth এ
আমরা যখন Google Earth এর সাহায্যে কোন জায়গা দেখি তখন সাধারনত স্থির ছবি দেখি। তাও সেটার আপডেট আমরা জানিনা। কিন্তু বর্তমানে গুগল আর্থকে লাইভ করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিজ্ঞানীরা। এর জন্যে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের বাহিরে হাই কোয়ালিটি ভিডিও ক্যামেরা সংযোজন করা হয়েছে, এটা মনে করবেন না যে ভিডিও ক্যামেরাগুলো মহাশূন্যের ছবি তুলতে ব্যস্ত। আসলে ক্যামেরাগুলোকে তাক করা রাখা হয়েছে পৃথিবী বরাবর। যখনি ভালো রেজুলেশন পাওয়ার আসে (১পিক্সেল/ মিটার) তখনি সমস্ত পৃথিবীর লাইভ ভিডিও ব্রডকাস্টিং শুরু হয়ে যাই। Georgia এর টেকনোলজি গবেষনা কারি একটি দল অবশ্য একটু ভিন্ন ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তারা পৃথিবীর চারপাশ থেকে সংগ্রহ করা ভিডিও গুলো দ্বারা একটি ত্রিমাত্রিক তল তৈরী করে একটি বাস্তব ভিত্তিক Google Earth উপস্থাপনের চেষ্টা করে যাচ্ছে।
মাইন্ড রিডিং ক্যামেরা
জাপানের একদল গবেষক এই অসাধারন যন্ত্রটি তৈরী করতে সক্ষম হয়েছে ।আপনি যখন কোন কিছুর চিন্তা করবেন তখন আপনার মাথায় লাগানো এই ক্যামেরা আপনার চিন্তাটাকে GIF ইমেজের সাহায্যে প্রদর্শন করে থাকে। যদিও এটার বিকাশ এখনো সদুর প্রসারী তবুও সূচনালগ্নে এরকম আবিষ্কার একেবারে মন্দ না।সামনের দিনগুলোতে প্রয়োগের চাইতে অপপ্রয়োগ বেশি হয় কিনা কে জানে। কারন বউ কিংবা গার্লফ্রেন্ডের মাথায় লাগিয়ে হয়তো মানুষ প্রশ্ন করবে সারাদিন কী কী করলা একেক করে বলো 😆 মিথ্যা ধরতেও এই যন্ত্র অনেক বড় ভুমিকা রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এটা বিস্ময়কর আবিষ্কার বলা চলে।
এবার আপনি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের সাহায্যে সপ্ন ধরে রাখুন
শ্যাডো নামে একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরী করা হচ্ছে যেটা আপনার স্বপ্নকে বুঝতে সক্ষম হবে। যারা দুঃস্বপ্ন দেখে তাদেরকে স্বপ্নের হাত থেকে রক্ষা করতে পারবে এই অ্যাপ্লিকেশনটি। তাছাড়া আপনার দেখা স্বপ্নকে ভয়েস অথবা টেক্সট এর মাধ্যমে প্রকাশ করবে এই অ্যাপ্লিকেশন।যারা ঘন ঘন দুঃস্বপ্ন দেখেন কিংবা স্বপ্নে ব্যাপারে উৎসুক তাদের জন্য খুব সহায়ক হতে পারে এই অ্যাপ্লিকেশন। এই অ্যাপ্লিকেশনকে আপনার দেখা সব স্বপ্নকে তার ডাটাবেজে সংরক্ষণ করে রাখবে যাতে পরবর্তি সময়ে আপনার মানুষিক অবস্থা সম্পর্কে কিছু ধারনা লাভ করা যায়। অবাক লাগছে কি? এটাই সত্যি
যাই হোক অনেক কিছু শেয়ার করলাম, জানি না কে কতো টুকু প্রযুক্তি বিষয়ে অভিজ্ঞ আপনারা, তবে আমার জানার কিছু অংশ আপনাদের কাছে শেয়ার করে নিজেকে গর্বিত মনে করছি। সব সময় সফটওয়্যার হাট এর পাশেই আছি পাশেই থাকবো।
আমার এই পোস্ট আপনাদের কেমন লাগলো আর আমি আপনাদের সাইটে জায়গা পাবো কি না এটা জানাতে ভুলবেন না।
সবশেষে মহসিন ভাই এর সুস্থতা কামনা করে এখানেই শেষ করছি।
লেখাটি পাঠিয়েছেন শরিফুল। ফেসবুক আইডি । আপনিও লিখতে পারেন আমাদের এই সাইটে। আপনার নিজের হাতের লেখাটি আমাদের কাছে ইমেইল করে দিন।
পোষ্টটি ভাল লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না 🙂
No Comments